সারা বাংলাদেশ জুড়ে দেয়ালে দেয়ালে স্লোগান ও গ্রাফিতি এঁকে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করার নজিরবিহীন কর্মসূচি পালন করছে বৈষম্য বিরোধী তথা কোটাবিরোধী আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
মুক্তিযুদ্ধ পূর্ব এবং পরবর্তী সময়ে বিপ্লবীরা জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে এই পদ্ধতি অবলম্বন করতেন।
প্রাচীনকাল থেকেও এই পদ্ধতির প্রমাণ পাওয়া যায়।
ইতিহাস সংরক্ষণের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে দেয়াল লিখন ও গ্রাফিতি।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও সাধারণ জনগণ যেন ইতিহাস ভুলে না যায় তাই শিক্ষার্থীরা এই কর্মসূচি পালন করেন।
এতে করে তারা বিশ্বাস করেন ছাত্র-জনতার মাঝে নতুনভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করবে।
কোটাবিরোধী আন্দোলনের শুরু থেকেই সাধারণ জনগণের সমর্থন ছিল। মধ্যখানে পরিস্থিতি অনেকটাই কঠিন হওয়ায় হয়তো অনেকেই আন্দোলন চলাকালীন সময়ের সার্বিক পরিস্থিতির কথা ভুলে যেতে পারেন।
তারই প্রেক্ষিতে ছাত্র সমাজের এই নজিরবিহীন কর্মসূচিকে সাধারণ জনগণ স্বাগত জানিয়েছে।
এই কর্মসূচি সফল করতে দেশের বিভিন্ন দেয়াল ও মহাসড়ক সহ বিভিন্ন অলি গলিতে নানার রকমের স্লোগান ও গ্রাফিতি আঁকা হয়।
এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী কথা কোটা বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ এক বিবৃতিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন।