স্বৈরাচার হাসিনা সরকার পতনের অন্যতম মহানায়ক পিনাকী ভট্টাচার্য। ফেসবুক কিংবা ইউটিউবে তাঁর আলোচনা শুনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। বিশেষ করে তরুণরা তাঁর তেজ্বদীপ্ত কণ্ঠস্বরের প্রতি দূর্বল।
কারণ তিনি বিপ্লবী। অসংখ্য তরুণ স্বদেশের মায়ায় তাঁর বিপ্লবী চিন্তাকে ধারণ করে বিপ্লবী হয়ে উঠেছেন, দেশের জন্য তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছেন। নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছেন।
৫ই আগস্টের পর ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর পিনাকী ভট্টাচার্য বিভিন্ন আলোচনার মধ্য দিয়ে দেশের কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টারা তা আমলে নিচ্ছেন না। বিষেশভাবে তিনি গণঅভ্যুত্থানে আহতদের চিকিৎসা ও পূনর্বাসনের ক্ষেত্রে যুগোপযোগী দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
শুধু তাই নয়; তিনি নিজে সহযোগিতা করার আশ্বাসও দিয়েছেন। তবুও তাঁর এই দিকনির্দেশনা সরকার আমলই নেননি।
গত ৫ই অক্টোবরে তিনি আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা ও পূনর্বাসনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা দেন। অথচ সরকারের উপদেষ্টা তা পাত্তা দেননি। ফলে আহতরা তাদের নূন্যতম চিকিৎসা না পেয়ে রাস্তায় নামতে বাধ্য হন।
যেখানে বিপ্লবীদের জীবন নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছিল সরকারের সর্বপ্রথম দায়িত্ব। সেখানে তারা ব্যর্থ হয়েছেন বলে সমালোচনা হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে অচিরেই বিপ্লব বেহাত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পিনাকী ভট্টাচার্যের মতে, “দ্রুত সময়ের মধ্যে উপদেষ্টা পরিষদ সংস্কার ও আহতদের সঠিক চিকিৎসা ও পূনর্বাসনের ব্যবস্থা না করলে বিপ্লব ব্যর্থ হবে।“
এছাড়াও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিপ্লবের স্পিরিট ধারণ করতে পারেনি বলে সমালোচনা করেন Pinaki Bhattacharya। তার মতে, যারা বিপ্লবের স্পিরিট ধারণ করে, যারা বিপ্লবে সরাসরি অংশগ্রহণ করেছে,কিংবা বিপ্লব বেহাত হলে যাদের ফাঁসিতে ঝুলানোর আশঙ্কা করা যায়। এমন ব্যাক্তিকে উপদেষ্টা করা উচিৎ।
তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন,
“দ্রুত সংস্কার চাইলে,উপদেষ্টাদের ঢেলে সাজাতে হবে।
উপদেষ্টাদের মাঝে দ্রুত সংস্কার করা দরকার।”
ইতোমধ্যে তাঁকে উপদেষ্টা করার জন্য দেশ ও প্রবাসে দাবি উঠেছে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।