সপ্তাহের মধ্যে যত দিন রয়েছে তার মধ্যে সবচাইতে উত্তম দিন হচ্ছে শুক্রবার জুমার দিন!
কেননা এই দিনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হযরত আদম আঃ-কে সৃষ্টি করেছিলেন। এই দিনেই হযরত আঃ এর জান কবজ করা হয়। এই দিনেই হযরত ইসরাফিল আঃ শিঙ্গায় ফুঁৎকার দিবেন! এই দিনে বিকট আওয়াজ হবে! তাইতো আল্লাহর রাসূল সাঃ আমাদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন,যেন আমরা জুমার দিন শুক্রবারে বেশি বেশি দুরুদ পাঠ করি! কারণ যেই বান্দা শুক্রবার জুমার দিনে আল্লাহর রসূল সাঃ এর উপর দুরুদ পাঠ করবে রহমতের ফেরেশতারা তার দুরুদ রাসূলে আকরাম সাঃ এর সামনে পেশ করবেন। সুবাহানাল্লাহ।
এ সম্পর্কে সুনানে আবু দাউদের ১০৪৭ নম্বর হাদিস। আল্লাহর রাসূলের প্রিয় সাহাবী হযরত আওস ইবনু আওস রাঃ বর্ণনা করেন,রসুলে আকরাম সাঃ ইরশাদ করেছেন,
إِنَّ مِنْ أَفْضَلِ أَيَّامِكُمْ يَوْمَ الْجُمُعَةِ তোমাদের দিন সমূহের মধ্যে সর্বোত্তম দিন হলো জুমার দিন।
فِيهِ خُلِقَ آدَمُ এই দিনে আদম আঃ-কে সৃষ্টি করা হয়
وَفِيهِ قُبِضَ এবং এই দিনেই তার জান কবজ করা হয়
وَفِيهِ النَّفْخَةُ এবং এই দিনেই শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে
وَفِيهِ الصَّعْقَةُ এবং এই দিনেই বিকট আওয়াজ হবে
فَأَكْثِرُوا عَلَىَّ مِنَ الصَّلَاةِ فِيهِ সুতরাং তোমরা এই দিনে বেশি বেশি আমার উপর দুরুদ পাঠ করো
فَإِنَّ صَلَاتَكُمْ مَعْرُوضَةٌ عَلَىَّ কেননা এই দিনে তোমাদের দুরুদ আমার কাছে পেশ করা হয়। সুবাহানাল্লাহ।
আল্লাহর রাসূল সাঃ এর মুখে এমন কথা শুনে সাহাবায় কেরাম রাঃ জিজ্ঞাসা করলেন, يَا رَسُولَ اللهِ وَكَيْفَ تُعْرَضُ صَلَاتُنَا عَلَيْكَ وَقَدْ أَرِمْتَ ওগো আল্লাহর রাসূল কিভাবে আমাদের দুরুদ আপনার সামনে পেশ করা হবে? আপনিতো মাটির সাথে মিশে যাবেন! সাহাবীদের এমন প্রশ্নের জবাবে রাসূলে আকরাম সাঃ বলেন, إِنَّ اللهَ عَزَّ وَجَلَّ حَرَّمَ عَلَى الأَرْضِ أَجْسَادَ الأَنْبِيَاءِ মহান সর্বশক্তিমান আল্লাহ নবী-রাসূলদের দেহকে মাটির জন্য হারাম করে দিয়েছেন! নবী-রাসূলদের দেহকে মাটি কোন ক্ষতি করতে পারবেনা! অর্থাৎ নবী-রাসূলদের দেহ যেমন ছিল তেমনি থাকবে। সুবাহানাল্লাহ।
এজন্য আমাদের প্রত্যেকের উচিত হচ্ছে,জুম্মার দিন বেশি বেশি আল্লাহর রাসূল সাঃ এর উপর দুরুদ পাঠ করা। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের প্রত্যেককে রসুলে আকরাম সাঃ এর উপর বেশি বেশি দুরুদ পাঠ করার তৌফিক দান করুন আমীন।