কারফিউ চলাকালীন সময়ের মধ্যেও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের তথা কোটা বিরোধী আন্দোলনকারীরা ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে।
১৮ জুলাইয়ের পর থেকে দীর্ঘদিন যাবত তাদের রাজপথে তেমন কোন কর্মসূচি ছিলনা।
তবে গতকাল আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বিবৃতি দিয়ে জানান আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে যে সকল শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে তাদের যদি মুক্তি দেয়া না হয়। তাহলে ‘বাংলা ব্লকেড’এর চাইতেও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ইতোমধ্যে কোটাবিরোধী আন্দোলনের প্রধান তিন সমন্বয়ককে হাসপাতাল থেকে ডিবি হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়। ফলে নতুন সমন্বয়কগণ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।
আন্দোলন চলাকালীন সময়ে যে সকল শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের সাথে জড়িত হত্যাকারী ও আদেশদানকারী মন্ত্রীদের অব্যাহতি চেয়ে তারা দাবি জানিয়েছেন।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথে থাকবেন।
যত দ্রুত সম্ভব তাদের দাবি মেনে পড়ার টেবিলে ফিরতে সহযোগিতা করার জন্য সংশ্লিষ্টদেরকে আহ্বান জানিয়েছেন।
এ পর্যন্ত ঘটে যাওয়া ঘটনার দায় সরকারকে নিতে হবে বলে তারা সংবাদ সম্মেলন করেন।এ সময়ে আব্দুল হান্নান মাসউদ এর সাথে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী তথা কোটা বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক মাহিন সরকার ও রিফাত রশিদ।