পরারাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এখনও কীভাবে তার পদে বসে আছে? সচিবদের ভেতর সবচেয়ে বড় দালালদের একজন এই মাসুদ বিন মোমেন। সে আসলে নিজেকে সচিব না, বরং স্বৈরাচারী হাসিনার রাজনৈতিক নেতা মনে করতো, ইনফ্যাক্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সবকিছু সেই সামলানো। এই দালালের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোন শেষ নাই। শেখ হাসিনার যাবতীয় কর্মকাণ্ডকে বহির্বিশ্বে জাস্টিফাই করতো সে। এমনকি এই ছাত্র আন্দোলনেও ছাত্রদের বিরুদ্ধে নানা প্রোপাগান্ডা সে ভিডিও বানিয়ে প্রেজেন্ট করেছিলো বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশী কূটনৈতিক মহলের লোকদের কাছে। আবু সাঈদ পুলিশের গুলিতে মারা যায় নি, ছাত্রদের ওপর হেলিকপ্টার থেকে গুলি করা হয়নি টাইপ নানারকম অপপ্রচার সে করে বেড়িয়েছে বাইরের দেশগুলোর কাছে।
অথচ এমন একজন মানুষ এখনও পররাষ্ট্র সচিব হিসাবে বহাল তবিয়তে থাকে কীভাবে? শুধু মাসুদ বিন মোমেনই নন, দেশের বাইরে বাংলাদেশী দূতাবাসগুলোতে পা-চাটা সব রাষ্ট্রদূত বসিয়ে রেখেছিলো হাসিনা, তাদের ব্যাপারেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যুক্তরাজ্যে এখনও জঘন্যরকম দালাল এবং হাসিনার একেবারে পা-চাটা খাসলোক সাঈদা তাসনীম মুনা রাষ্ট্রদূত হিসাবে বসে আছে। এরা কিন্তু এখনও তাদের চিরাচরিত খাসলত ধরে রেখেছে। এদেরকে প্রত্যাহার না করে নিলে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে নানাভাবে প্রশ্নের মুখে ফেলার চেষ্টা চালাতেই থাকবে এরা।
মাসুদ বিন মোমেনকে যদি না সরানো হয়, তাহলে তার কিছু অপকর্মের ফিরিস্তি জনসম্মুখে প্রকাশ করতে বাধ্য হবো।
আর ডানে বামে রাখঢাক না করেই বলছি মাসুদ বিন মোমেন এর মত লোককে পররাষ্ট্র সচিব হিসাবে বসিয়ে রাখার মানে হলো ছাত্র-জনতার রক্তের সাথে বেঈমানি করা। এই লোককে দ্রুততার সাথে অপসারণ করাটা অবশ্যই দরকার।