জুমু’আর দিনে এমন একটি বিশেষ আমল রয়েছে! যদি কোন বান্দা শুক্রবার জুমা’র দিনে এই আমলটি করতে পারে তাহলে ঐ ব্যক্তির এক জুমু’আ থেকে পরবর্তী জুমু’আ পর্যন্ত ঈমানের নূর চমকাতে থাকবে! শুধু তাই নয় মহান মালিক ঐ ব্যক্তিকে দাজ্জালের ভয়াবহ ফিতনা থেকে হেফাজত করবেন। সুবাহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম।
সেই আমলটি হচ্ছে মিশকাতুল মাসাবিহের ২১৭৫ নম্বর হাদিস। আল্লাহর রাসূলের অত্যন্ত প্রিয় সাহাবী হযরত আবু সাঈদ খুদরি রাঃ বলেন,রসূলে আকরাম সাঃ এরশাদ করেছেন, من قَرَأَ سُورَة الْكَهْف فِي يَوْم الْجُمُعَة যে ব্যক্তি জুমার দিনে সূরাতুল কাহাফ তেলাওয়াত করবে أَضَاء لَهُ النُّور مَا بَيْنَ الْجُمْعَتَيْنِ এক জুমু’আ থেকে পরবর্তী জুমু’আ পর্যন্ত ঐ ব্যক্তির ঈমানের নূর চমকাতে থাকবে। সুবাহানাল্লাহ।
সুরাতুল কাহাফ-এর এত ফজিলত যে,সুনানে আবু দাউদ-এর ৪৩২৩ নম্বর হাদীসে আল্লাহ রাসূল সাঃ ইরশাদ করেন, مَنْ حَفِظَ عَشْرَ آيَاتٍ مِنْ أَوَّلِ سُورَةِ الْكَهْفِ যে ব্যক্তি সূরাতুল কাহাফ-এর প্রথম দশটি আয়াত মুখস্ত করবে হিফজ করবে عُصِمَ مِنْ فِتْنَةِ الدَّجَّالِ ঐ ব্যক্তি দাজ্জালের ভয়াবহ ফিতনা থেকে মুক্তি লাভ করবে! সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম।
এছাড়াও সুনানে আহমাদের আরেক বর্ণনায় রয়েছে,যে ব্যক্তি সূরাতুল কাহাফ-এর শেষ আয়াত পড়বে শেষ আয়াত তিলাওয়াত করবে ঐ ব্যক্তি দাজ্জালের ভয়াবহ ফিতনা থেকে মুক্তি লাভ করতে পারবে! সুবাহানাল্লাহ।
এজন্য আমাদের প্রত্যেকের উচিত হচ্ছে,প্রত্যেক শুক্রবার Jumar Dine সূরাতুল কাহাফ তেলাওয়াত করা। এতেকরে এক জুমু’আ থেকে পরবর্তী জুমু’আ পর্যন্ত আমাদের ঈমানের নূর চমকাতে থাকবে।
আর যদি দাজ্জালের ভয়াবহ ফিতনা আমাদের সামনে উপস্থিত হয় তাহলে সূরাতুল কাহাফ-এর উপর আমল করার কারণে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে দাজ্জালের ভয়াবহ ফিতনা থেকে হেফাজত করবেন। আল্লাহ রব্বুল আলামিন আমাদের প্রত্যেককে শুক্রবার জুমু’আর দিনে পবিত্র কোরআনের এই ফজিলতপূর্ণ সূরা সূরাতুল কাহাফ-এর উপর আমল করার তৌফিক দান করুন এবং আমাদেরকে দাজ্জালের ভয়াবহ ফিতনা থেকে হেফাজত করুন আমীন।