কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সদস্য ও উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি, হ’ত্যা মামলাসহ ৯ মামলার আসামী আবদুল হাই কানুর পক্ষে চৌদ্দগ্রামে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল।
গতকাল মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জামায়াতের সমর্থক কয়েকজন জুতার মালা পড়িয়ে দেয়। সেই ভিডিও ভাইরাল হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। কেউ কেউ কানুর পক্ষ নেয়।
তবে তার আসল পরিচয় বেরিয়ে আসলে অনেকই তীব্র সমালোচনা করে। সে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সদস্য ও উপজেলা কৃষক লীগের সাবেক সভাপতি। এছাড়াও হত্যা মামলাসহ তার নামে ৯ টি মামলা রয়েছে। তার পক্ষে আজ সন্ধ্যায় চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন বিক্ষোভ মিছিল করে।
এমন একজন ব্যাক্তির পক্ষ নেয়ায় অনেকেই বিএনপিকে সমালোচনার কাঠগড়ায় দাঁড় করে বলেন,
“কোন হিসাবে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা বিএনপি এই লোকটার পক্ষে দাঁড়ালো? তিনি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন বলে? তাহলে টঙ্গীর ধ’র্ষ’ক পলাতক সাবেক মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রী মোজাম্মেলের পক্ষেও কি একইভাবে দাঁড়াবে বিএনপি?”
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই মন্তব্য করছেন,
“মুক্তিযোদ্ধা হলেই কি অপরাধীর সাত খুন মাফ?” “সরকার যদি আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না ন্যায়। তবে ভুক্তভোগীরা তো ক্ষোভে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে চাইবেই।”
পাশাপাশি অনেকেই মব জাস্টিসের তীব্র সমালোচনা করেন।
তাই আসামিদের বিরুদ্ধে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপর হওয়া উচিৎ বলে জানান দেশের আপামর সাধারণ।