ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর কামরুল হাসান মামুন তাঁর ভেরিফাই পেজে লিখেন, আওয়ামিলীগ-বিএনপি আপন হয় কেবল একসাথে বিপদে পড়লে- ঢাবি প্রফেসর কামরুল হাসান
“ফখরুদ্দিন-মইনুদ্দিনের সময় আওয়ামীলীগ বিএনপি দুই দলের নেতারাই “মাইনাস টু-ফর্মুলা”-র বিরুদ্ধে কথা বলেছেন এবং তখন মনে হচ্ছিল এরা কত আপন। মনে হচ্ছিল উভয় দলের নেতাদেরই উভয় নেত্রীর প্রতি কত ভালোবাসা এবং মায়া।
আসলে একে অপরের বিরুদ্ধে সব সময়ই ঘৃণা পোষণ করে আসছে। আসলে এরা দুই দলই যখন একসাথে বিপদে পরে কেবল তখনই তারা আপন হয়। দুই দলের কোন একটি সুবিধাজনক অবস্থায় যেতে পারলে চিরাচরিত নিয়মানুসারে দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার শুরু হয়ে যায়।
শুধু সুযোগের অপেক্ষায় ছিল। আওয়ামীলীগ যখন সুযোগ পেয়েছে একজনকে একদম জেলে ভরে দিয়ে মৃত্যুর কাছাকাছি নিয়ে গেছে। বিএনপি যখন সুযোগ পেয়েছে তখন অন্যজনকে একদম চিরতরে দুনিয়া থেকে উঠিয়ে দেওয়ারও চেষ্টা হয়েছে। দুই দলের যেকোন একটি আবারও সুযোগ পেলে দানব হয়ে উঠবে।
এই দুই দল বাংলাদেশের জনগণকে দ্বিধা বিভক্ত করেই রাজনীতি করে। দেশের কল্যাণ নিয়ে এদের সুদূরপ্রসারী ভিবিষ্যৎ কোন পরিকল্পনা নাই। এদের রাজনীতিই হলো পশ্চাদমুখী, অতীতমুখী।
এরা চায় দেশের মানুষ বলদ থাকুক। সেই জন্য এদের কেউই শিক্ষা ও গবেষণায় মনোযোগ দেয়নি, বিনিয়োগ করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না। শিক্ষায় বিনিয়োগ দীর্ঘমেয়াদি সুফল বয়ে আনে আর এইজন্যই রাজনৈতিক সরকারগুলো এই খাতে বিনিয়োগে উৎসাহ পায় না।
কারণ, এমন বিনিয়োগের ফলাফল যখন আসতে শুরু করবে তখন তারা ক্ষমতায় নাও থাকতে পারে। ফলে, সরকারগুলোর শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দেওয়ার তাগিদ কম থাকে। এই স্বল্পদৃষ্টিসম্পন্ন দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ করতে হবে, যাতে জাতির টেকসই উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিত করা যায়।
সমস্যা হলো বর্তমান সরকার নিরপেক্ষ হওয়ার বদলে এমন আচরণ করছে যা থেকে জামাতই ক্ষমতায় এমন একটা Vibe পাওয়া যায়। এর ফলে দেশ আবারও সংকটের কিনারে। তাই এই ৩ দল দিয়ে বাংলাদেশ কখনো উন্নত হবে না। আমাদের দরকার নতুন মানুষ দিয়ে নতুন রাজনীতি।
এইটা AI এর যুগ। এইটা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি আর গবেষণার যুগ। এইটা আদিম যুগ না যে সারাক্ষন তুচ্ছ কারণে ঝগড়া বিবাদে সময় নষ্ট করা যায়। আমরা বানর আর শিম্পাঞ্জির ন্যায় আচরণ করছি।”