ছাত্রদের ধাওয়ায় আনসাররা সচিবালয় থেকে দৌঁড়ে পালিয়েছে। কিন্তু এটাই শেষ কথা নয়। কতবড় স্পর্ধা হলে এরা এমন গণবিরোধী কাজ করতে পারলো এবং ছাত্রদের পিটিয়ে আহত করলো, তার জন্য শক্ত পরিণতি এরা ডিজার্ভ করে। বিগত ১০ বছরে যেসব ছাত্রলীগ এবং টোকাইদের টাকা খেয়ে এই বাহিনীতে ঢোকানো হয়েছে, এদেরকে দ্রুত আইডেন্টিফাই করে বের করে দিতে হবে। সেসব জায়গায় নতুনভাবে নিয়োগ দিয়ে বেকারদের জায়গা করে দিতে হবে।
আনসারের ডিজি ছিলেন মেজর জেনারেল আমিনুল হক, এই লোক হলো শরীয়তপুরের আওয়ামী লীগের এমপি এনামুল হকের আপন ভাই। মেজর জেনারেল আমিনুলের আমলে আনসারকে আনসার-লীগে পরিণত করা হয়েছিলো। এই চ্যানেল ধরে যারা আনসারে থিতু হয়েছে, এদের শিকড় পুরোপুরি উপড়ে ফেলতে হবে।
শুধু আনসার নয়,যারাই এই মুহুর্তে অধৈর্য হয়ে সচিবালয় ঘেরাও, রাস্তা দখল, কর্মবিরতি হ্যানত্যান করে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরীর পায়তারা করছে, তাদেরকে শক্ত হাতে দমন করতে হবে। ফাইজলামি অনেক হয়েছে। প্রশাসনের শক্ত ভূমিকা নেওয়ার আর কোনই বিকল্প নাই।