দেশের কয়েকটি রাজনৈতিক দলের প্রতিদিনের ভাষণ হয়ে গেছে দ্রুত “নির্বাচন দিন”! এ নিয়ে জনগণের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর কামরুল হাসান মামুন তাঁর ভেরিফাই পেজে লিখেন,
” শুধু একটা নির্বাচনের জন্যই কি এই অভ্যুত্থান হয়েছিল? আর কেবল শুধু একটি নির্বাচনই দেশের সমস্যার সমাধান দিবে? ৫৩ বছরে অনেক নির্বাচন হয়েছে, অনেক নির্বাচিত সরকার দেখেছি, জনগণের সরকার দেখেছি, জনগণের ম্যান্ডেট দেখেছি।
সম্ভবত এই অন্তর্বর্তী সরকারই বিশাল ম্যান্ডেট পেয়েছে দেশটাকে মেরামত করার জন্য। শুধু একটা নির্বাচন দেওয়ার জন্যই এই অন্তর্বর্তী সরকার হয়নি। দেশে কিছু মেরামত দরকার। রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে এক্ষনি ক্ষমতা দিলে তারা মেরামত করবে না। তারা বরং সমস্যাই চায়। সমস্যা থাকলেই তাদের সুবিধা।
তাই এই সরকারকেই মেরামত করতে হবে এবং তাদের যথেষ্ট সময় দিতে হবে।
ইতিমধ্যেই জনগণ, ম্যান্ডেট, নির্বাচন, গণতন্ত্র ইত্যাদি অতীব চর্চিত শব্দাবলী আবার উচ্চারিত হতে দেখছি। এদের এইসব কথা শুনলেই ভয় হয় আবার বুঝি মেরামতের সুযোগ হাতছাড়া হলো। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যেই কামড়া কামড়ি শুরু করে দিয়েছে।
আজকের সংবাদ শিরোনাম “ছাত্রদলের কমিটি ঘিরে রাজধানীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আতঙ্ক, বিক্ষোভ চলছেই”! নির্বাচনের মাধ্যমে ওরা ক্ষমতায় গিয়ে কি করবে তার আলামত দেখার চোখ কি আমাদের আছে?”
দেশের আপামরসাধারণ বলছে, সংস্কার ছাড়া নির্বাচন দিলে দেশে শান্তি বয়ে আনবে না। দীর্ঘদিন যাবত দেশের অবস্থা জনগণের প্রতিকূলে। এমতাবস্থায় যদি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচন দিয়ে দেয়। তাহলে দেশে আবারো স্বৈরাচারতন্ত্র ফিরে আসবে।
সাধারণ মানুষ আবারো দীর্ঘদিনের জন্য পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হয়ে যাবে। যা দেশের আপামরসাধারণ চায় না। মানুষ শান্তি চায়, চায় মুক্তি। তাই দ্রুত সময়ে আগে সংস্কার হোক পরে নির্বাচন।