প্রথম আলোর অফিসের গ্রাউন্ড ফ্লোর আয়নাঘরের চেয়েও ভয়ংকর বলে দাবি করেছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক ঐক্য উত্তরা শাখার সদস্য এমাজউদ্দীন ফরহাদ।
গতকাল প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের প্রধান কার্যালয়ের সামনে জেয়াফতের আয়োজন করে সাধারণ জনগণ।
সেখানে এমাজউদ্দীন ফরহাদ বক্তব্য দিয়ে চলে আসার কিছুক্ষণ বাদে তাকে আটক করে সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তা।
তার ফেসবুক পেজ থেকে এক ভিডিও বার্তায় তাকে বলতে দেখা যায় যে, তিনি বলেন;
“প্রথম আলোর সামনে থেকে বক্তৃতা দিয়ে ফেরার পথে আমাকে ১০ জন সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা গাড়িতে তোলে। এসময়ে আমি সমন্বয়ক রিফাত রশিদকে ভয়েজ পাঠিয়ে বলি, প্রথম আলো-ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে বক্তৃতা দেয়ায় আমাকে আটক করেছে।
এরপর আমাকে তারা গাড়িতে তুলে ঘন্টা খানেক ঢাকার বিভিন্ন রাস্তা এলোমেলো গাড়ি চালায়। এসময়ে তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, মেরে ফেলারও হুমকি দেয়। পরে তারা আমাকে প্রথম আলোর অফিসের গ্রাউন্ড ফ্লোরে নিয়ে যায়। আমি আয়নাঘরের যে তথ্য জেনেছি তার চেয়ে ভয়ংকর সে জায়গা।
সেখানে তারা আমাকে কুকুরের মত পেটাতে থাকে। আমি অজ্ঞান হয়ে যাচ্ছিলাম বারবার। জ্ঞান ফিরলে আবার মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা আমাকে দেশ ছাড়ার হুমকি দেয়।
পরে তেজগাঁও থানায় আমাকে দিয়ে আসে। সেখানকার পুলিশ সদয় হয়ে আমার মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।”
এমাজউদ্দীন ফরহাদ ভিডিও বার্তার শেষাংশে তার প্যান্ট খুলে কোমড়-নিতম্ব ও পায়ে মারের নির্মম চিহ্নগুলো দেখায়। এবং এক পর্যায় সে কান্না করে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদকে উদ্দেশ্য করে এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানায়।