৫ আগস্টের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মধ্যে যাদের সবচেয়ে বেশি সরব থাকতে দেখা গেছে তাদের মধ্যে অন্যতম হাসনাত আব্দুল্লাহ। দেশের মানুষের প্রয়োজনে উপেদেষ্টা না হয়েও বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে গেছেন তিনি।
সর্বদা ফ্যাসিবাদের পতনের লক্ষ্যে আওয়াজ জারি রেখেছেন। বিপ্লব বা গণঅভ্যুত্থানকে সমুন্নত রাখতে দেশের এই কঠিন সময়ে সকলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার অসহনীয় পরিশ্রমও করে যাচ্ছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
বিশেষভাবে গত কয়েকদিন যাবত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসা নিয়ে সরকারে গড়িমসিতে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এদিকে রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন ব্যাক্তিরা ছাত্রদের নিয়ে কটাক্ষ করেই যাচ্ছেন।
যার ফলে হাসনাত আব্দুল্লাহ সাংবাদিকদেরকে দেয়া বক্তব্যে বলেন; ‘বাচ্চারা গুলি খাবে আর মুরুব্বিরা পদ ভাগাভাগি করবে’। অর্থাৎ তরুণরা ফ্যাসিবাদের পতনে নিজের জীবন দিয়েছেন, গুলির সামনে দাঁড়িয়েছেন। অথচ প্রবীন রাজনৈতিক নেতারা ক্ষমতা দখলের পায়তারা করছেন।
তাঁর এই বক্তব্য মুহূর্তের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। পরক্ষণে ছাত্র-জনতা,সুশীল সমাজ, রাজনীতিবিদের মাঝে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।
অনেক রাজনীতিবীদরা তার এই বক্তব্য নেতিবাচকভাবে দেখলেও দেশের আপামর জনসাধারণ ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছেন।
দেশের ছাত্র-জনতা মনে করেন, বিগত গনঅভ্যুত্থান যে রাজনীতির কারণে ব্যর্থ হয়েছে। ২৪ এর গনঅভ্যুত্থান যেন সে কারণে কোনভাবেই ব্যর্থ না হয়। তাই যারা বিপ্লব বা গণঅভ্যুত্থানে সরাসরি যুক্ত ছিল তাদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। অন্যথায় বিপ্লব ব্যর্থ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।