আরবি ১২ মাসের মধ্যে জিলহজ মাস হচ্ছে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে অত্যন্ত পছন্দের মাস! তাইতো রসুলে আকরাম সাঃ জিলহজ মাসে বেশি বেশি এবাদত করতে বলেছেন। তাই আমাদের প্রত্যেকের উচিত হচ্ছে জিলহজ মাসে বেশি বেশি আমল করা। জিলহজ মাসের ১০টি বিশেষ আমল রয়েছে।
নম্বর এক হচ্ছে,যারা কুরবানী করবে যাদের কুরবানী করার সামর্থ্য রয়েছে এবং যাদের কুরবানী করার সামর্থ্য নেই তারা যেন ঈদের দিন কুরবানী করার আগ পর্যন্ত নিজের নখ চুল গোফ শরীরের অবাঞ্ছিত লোমগুলো না কাটে। বরং কুরবানী করার পর যেন এগুলো পরিষ্কার করে। এতেকরে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদেরকে পূর্ণ একটি কুরবানী করার সওয়াব দান করবেন। সুবাহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম।
দুই নম্বর আমল হচ্ছে,জিলহজ মাসে বেশি বেশি রোজা রাখা। বিশেষ করে আরাফার দিনে রোজা রাখা। কেননা আল্লাহর রাসূল সাঃ বলেন,যে ব্যক্তি আরাফার দিন রোজা রাখবে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ঐ ব্যক্তির আগের এক বছর এবং পরের এক বছরের গুনাহ মাফ করে দিবেন। সুবাহানাল্লাহ।
তিন নম্বর আমল হচ্ছে,জিলহজ মাসে বেশি বেশি আল্লাহর জিকির করা। سبحان الله والحمد لله ولا اله الا الله والله اكبر এই জিকিরগুলো বেশি বেশি করা।
নম্বর চার হচ্ছে,জিলহজ মাসে বেশি বেশি তাকবীর পাঠ করা। الله أكبر، الله أكبر، لا إله إلا الله والله أكبر، الله أكبر ولله الحمد আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ। এই তাকবীরগুলো বেশি বেশি পাঠ করা।
নম্বর পাঁচ হচ্ছে,জিলহজ মাসে বেশি বেশি আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টির জন্য তাঁর রাস্তায় দান সদকা করা। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি লাভের আশায় মানুষের কল্যাণে নিজের অর্থ সম্পদ এবং সময়কে ব্যয় করা। অর্থাৎ অধিক পরিমাণে দান সদকা করা।
নম্বর ছয় হচ্ছে,জিলহজ মাসে বেশি বেশি কুরআনুল কারীম তেলাওয়াত করা। কেননা কুরআনুল কারীম তেলাওয়াত হচ্ছে সর্বোত্তম ইবাদাত। আর যেহেতু আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে জিলহজ মাস অত্যন্ত পছন্দের মাস তাই এই মাসে বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করা।
নম্বর সাত হচ্ছে,জিলহজ মাসে নফল ইবাদতগুলো বাড়িয়ে দেয়া। কেননা নফল ইবাদতের মধ্য দিয়ে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নৈকট্য হাসিল হয়। আর জিলহজ মাস আল্লাহ রব্বুল আলামীন এর কাছে অত্যন্ত পছন্দের মাস। তাই এই মাসে বেশি বেশি নফল ইবাদত করা।
নম্বর আট হচ্ছে,জিলহজ মাসে খুব আন্তরিকতার সাথে নিজের কৃতকর্মের জন্য নিজের গুনাহের জন্য ক্ষমা চাওয়া। তাওবা করা। বিশেষ করে আরাফার দিনে খাস দিলে তওবা করা। কেননা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আরাফার দিনে সবচাইতে বেশি জাহান্নাম থেকে বান্দাদেরকে মুক্তি দান করেন। সুবাহানাল্লাহ।
নম্বর নয় হচ্ছে,যদি সামর্থ্য থাকে তাহলে জিলহজ মাসে হজ করা এবং বেশি বেশি উমরা করা।
নম্বর ১০ হচ্ছে,জিলহজ মাসের কোরবানির দিনগুলোতে কোরবানি করা। যদি আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনাকে কুরবানী করার সামর্থ্য দিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই মহান মালিকের সন্তুষ্টির জন্য কোরবানি করা। আল্লাহ রব্বুল আলামীন আমাদের সকলকে এই প্রত্যেকটি আমল করার তৌফিক দান করুন আমীন।