প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ঘিরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের মাঝে তীব্র ক্ষোভ দেখা দেয়। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জাবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন; মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে না তো কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে?
প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়।
আন্দোলনকারীরা বলেন;প্রধানমন্ত্রী আন্দোলনকারীদেরকে রাজাকারের নাতি-পুতি বলে ইঙ্গিত করেছেন। তাই আমরা ক্ষুব্ধ ও মর্মাহত।
ফলে গতকাল প্রায় রাত ১০টার দিকে ঢাবির বিভিন্ন হল থেকে আন্দোলনকারীরা মিছিল নিয়ে বের হতে থাকে। হলের ভিতরে বিভিন্ন রুমে রুমে শ্লোগান তুলে “তুমি কে? আমি কে? রাজাকার! রাজাকার!” চেয়েছিলাম অধিকার,হয়ে গেলাম রাজাকার” ইত্যাদি।
এক পর্যায়ে তারা রাজু ভাস্কর্যের সামনে মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকলে রোকেয়া হলের ছাত্রীরা হলের গেইটের তালা ভেঙে তাদের সাথে শরিক হয়।
প্রায় রাত ১টা পর্যন্ত অবস্থান শেষে প্রধানমন্ত্রীকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বক্তব্য প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়ে বিক্ষোভ শেষ করে আন্দোলনকারীরা।
একই সময় ঢাকা,বরিশাল,চট্টগ্রাম,কুষ্টিয়াসহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ মিছিল হয়।